শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও মেহের ঘোনা রেঞ্জের চাঁন্দের ঘোনা এলাকায় রিজার্ভ জমির উপর ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রবাসী খুন ও বনকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে।বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিট কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ খাঁন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ পুর্বক ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে ১৮ আগষ্ট রাত ১১ টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মামুন মিয়া।তবে তিনি তাৎক্ষনিক মামলার জিআর নাম্বারটি বলতে পারেনি।কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন খন্দকার মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি সিবিএনকে নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য,
১৭ আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে ঈদগাঁও মেহের ঘোনা বিটের চাঁন্দের ঘোনা উছিন্না মোরা এলাকায় বন বিভাগের জমির উপর পলিথিন দিয়ে ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।স্থানীয়রা জানায়,এদিন একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মোস্তাক আহমদসহ আরো ৪/৫ লোক তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী এক অসহায় নারীকে ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণ করে দিতে সহযোগীতা করে।খবর পেয়ে মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা মামুন অর রশিদের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুঁপড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।এ সময় নিহত মোস্তাকের সাথে বনকর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়।এক পর্যায়ে হাতাহাতির রূপ নিলে পরিস্থিতি ঘোলাতে হয়ে যায়।এক পর্যায়ে বিট কর্মকর্তা মামুন মোস্তাক আহমদকে গুলি করে বলে জানায় নিহত মোস্তাকের ভাই শফি আলম।পরে এলাকার লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোস্তাককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।মৃত্যুর সংবাদটি এলাকায় চাউর হলে ঘটনার ৩/৪০ মিনিট পর উত্তেজিত জনতা বনকর্মীদের ধাওয়া করে মারধর করে।এ সময় তাদের ৭ কর্মকর্তা -কর্মচারী আহত ও চাইনিজ রাইফেল ভাংচুর ও লুট করা হয়েছে বলে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মামুন মিয়া দাবী করে আসছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ বন বিভাগের লোকজন ইতিমধ্যে নিরহ ব্যক্তিদের নামে মামলা করে হয়রানী ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে । রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন মিয়া আরো জানায়,নিহত মোস্তাকের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে একজন বিট কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টার একটি মামলা রয়েছে যার নং ৩০/০৫, অপর একটি ডাকাতি চেষ্টা মামলা রয়েছে নং ০৪/২০০২। তবে মামলা দুটি ষড়যন্ত্রমুলক বলে দাবী করে আসছে নিহত মোস্তাকের পরিবার।